বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Date: 2025-08-30
news-banner

অনলাইন ডেক্স: 

সম্প্রতি শেষ হওয়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে দেশে-বিদেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সফরে একটি চুক্তি, চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি কর্মসূচি সই হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সফরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন পুনরায় কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমিশন গঠনের পদক্ষেপকে অনেকেই ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল অর্থনৈতিক উদ্যোগ দিয়ে সম্পর্ক টেকসই হবে না, বরং পারস্পরিক আস্থা গড়াই মূল চ্যালেঞ্জ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, পাকিস্তান এখনও ১৯৭১ সালের দায় স্বীকার এড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সিমলা চুক্তি থেকে জেনারেল মোশাররফের ঢাকা সফর পর্যন্ত কোথাও সরাসরি ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি উঠে আসেনি। একাত্তরের ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে সম্পর্ক টেকসই করা সম্ভব নয়।’ তিনি আরও জানান, পাকিস্তান যদি সত্যিই অতীতের সমাধান করেছে বলে দাবি করে, তবে তা যৌথভাবে ও উচ্চ পর্যায়ের ঘোষণার মাধ্যমে জানানো উচিত ছিল। ‘জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস কিংবা জাপান অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। পাকিস্তান কেন নয়?’—প্রশ্ন তোলেন তিনি।

অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম শফিউল্লাহ মনে করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ পুনরায় চালু হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত জাহাজ ও ফ্লাইট চলতো। রাজনৈতিক কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণের ইচ্ছা এখনও আছে—সম্পর্ক হোক, বাণিজ্য বাড়ুক।’ তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘একাত্তরের ক্ষত আমাদের জাতিগত স্মৃতিতে গেঁথে আছে। পাকিস্তান যদি আন্তরিকভাবে সম্পর্ক চায়, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।’

সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর ‘সমাধান দুইবার’ হয়েছে। তবে  বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তাঁর সেই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন।


advertisement image

Leave Your Comments