অনলাইন ডেক্স :সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা জারি করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। ২০১৯ সালের নিয়োগ বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রার্থী বা সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৮ বছর চাকরি করার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হতো।এদিকে, নতুন বিধিমালার তফসিল-১-এর বিধি-২(গ) অংশে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রধান শিক্ষকের ৮০ শতাংশ পদে পদোন্নতি এবং ২০ শতাংশ পদ পূরণ করা হবে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে। তবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলো সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতার অংশে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক (সঙ্গীত) বা সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদে মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ কমপক্ষে বার বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতায় বলা হয়, কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ বিবেচিত হবে না। নিয়োগ বিধিমালার তফসিল-২ এ বর্ণিত নিয়মে তাকে অবশ্যই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নতুন জারি করা বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, অবিলম্বে এ বিধিমালা কার্যকর হবে। আর ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ কার্যকর হওয়ার পর আগের বিধিমালা, অর্থাৎ ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ রহিত বলে বিবেচিত হবে। এ বিধিমালা অনুযায়ী আগামীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তথ্যমতে, চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকরী শিক্ষকের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে এবং প্রায় ৪০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিপুলসংখ্যক শূন্যপদে শিগগির পদোন্নতি ও সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।