অনলাইন ডেক্স:
একটু খাবার পাবার আশায় উত্তাপ্ত বালুতে খালি পায়ে ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে এসেছিল ছেঁড়া জামাকাপড়
পরা শিশু আমির। তার গন্তব্য ছিল গাজায় ত্রাণ বিতরণকারী সংস্থা
গ্লোবাল হিইম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি বিতরণ কেন্দ্র।
সাহায্যের ক্ষুদ্র কিছু প্যাকেট হাতে পাওয়ার পরপরই শুরু হয় ইসরায়েলি
বাহিনীর গোলাবর্ষণ। আর সে অবস্থাই সেখানেই মারা যায় শিশুটি। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঠিক এমনই এই হৃদয়বিদারক ঘটনার বিস্তারিত তুলে
ধরেন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য ও জিএইচএফের সাবেক
চুক্তিভিত্তিক কর্মী অ্যান্থনি অ্যাগুইলার। ইসরায়েলি মানবাধিকারকর্মী অফির
গুটেলজন এবং সাংবাদিক নোগা টারনোপলস্কির সঙ্গে ‘আনএক্সপেক্টবল’ পডকাস্টে এই
ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি। ওেই সময় বলেন, আমির, আমার কাছে এসে হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি তাকে ডাকি, সে
আমার হাত ধরে চুমু খায় আর বলে, শুকরান (ধন্যবাদ)। তবে এই আবেগঘন মুহূর্তের
স্থায়িত্ব ছিল খুবই অল্প সময়। এরপরই শুরু হয় মরাগ করিডোরে ত্রাণ নিতে আসা
মানুষের ওপর পিপার স্প্রে, টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ও গুলির বর্ষণ। ছোট ছোট শিশু, নারী, পুরুষ যারা তখনো আশপাশে ছিল, তাদের ওপর গুলি চালানো
হয়। আমি শুনতে পাই মেশিনগানের শব্দ। চারপাশে মানুষ মাটিতে পড়ে যাচ্ছ, নিহত
হচ্ছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, আমির ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে এসে সামান্য কিছু খাবার পেয়েছিল। আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছিল, আর তারপর মারা যায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু
হওয়া যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০ হাজার ২৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত
হয়েছেন। গ্লোবাল হিইম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রান বিতরণ শুরুর পর ১ হাজারেরও বেশি মানুষ
ত্রাণ নেওয়ার সময় নিহত হয়েছে।