সেন্টঅনলাইন ডেক্স:
সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেন্টমার্টিনে দ্বীপের রিসোর্ট,
বসতবাড়ি ও চাষাবাদের জমি। এমন পরিস্থিতিতে চারপাশে বেড়িবাঁধ অথবা জিও ব্যাগ
ফেলা না গেলে ধীরে ধীরে সেন্টমার্টিন দ্বীপটি বিলীন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, বর্ষাকালে পূর্ণিমায় জোয়ারের পানি বাড়লে, সৃষ্ট কোনো
ঘূর্ণিঝড়, গভীর নিম্নচাপ বা জলোচ্ছ্বাস হলে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে তীব্র
ঢেউ সৃষ্টি হয়। এতে পানির ধাক্কায় দ্বীপের বাড়ি-ঘর, গাছপালা, কৃষিজমি ও
রিসোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক সপ্তাহ আগেও সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় ১০টি
রিসোর্ট ও ১৯টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া লবণ পানি ঢুকে চাষাবাদের জমি
ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের দাবি, সেন্টমার্টিন টিকাতে হলে দ্বীপটির চারপাশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ বা জিও ব্যাগ ফেলতে হবে। কুদ্দুস নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ঝড়-বৃষ্টি বা সাগরে হালকা কোনো
নিম্নচাপ হলেই জমিতে পানি ঢুকে পড়ে। সাগরের লবণ পানিতে চাষাবাদ নষ্ট হয়ে
যায়। গত কয়েকদিনে আমার জমিতে জোয়ারের পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। সাগরের পানি বেড়ে
ঢেউয়ের ধাক্কায় আমার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষাকালে বা ঘূর্ণিঝড় হলে
প্রতি বছর এভাবে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি। সেন্টমার্টিন ড্রিমার্স প্রাডাইস রিসোর্টের ম্যানেজার রাকিব জানান, ।এবারের মতো তীব্র পানির ঢেউ কখনো সাগরে দেখা যায়নি। রিসোর্টের সঙ্গে থাকা ইটের
প্রাচীর পর্যন্ত ভেঙে গেছে। দেখা যাচ্ছে আগের তুলনায় এখন সাগরের পানির
উচ্চতা বাড়ছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন,
সেন্টমার্টিনে বেড়িবাঁধ বা জিও ব্যাগ দেওয়া হবে কি না এ বিষয়ে আমার কাছে
কোনো তথ্য নেই বা পরিকল্পনা নেই৷ তবে সম্প্রতি সেন্টমার্টিনে সাগরের
জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনদের ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের শুকনা খাবার ও চাল দেওয়া হয়েছে।