ভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া

Date: 2025-08-24
news-banner

 অনলাইন ডেক্স:

নতুন করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের তত্ত্বাবধানে শনিবার ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে।  অনন্য প্রযুক্তিব্যবহার করেউচ্চ ক্ষমতা সম্পন্নওই ক্ষেপণাস্ত্র দুটি তৈরি করা হয়েছে বলে খবরে প্রচার করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ক্রুজ মিসাইল ড্রোনসহ অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম বলেও দাবী করেছে কেসিএনএ। তবে এর বাইরে ক্ষেপণাস্ত্র দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থাটি।

দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির  জাতীসংগের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৩০ জন সেনা সীমান্তেরনো ম্যানস ল্যান্ডঅতিক্রম করায় দক্ষিণ কোরিয়ার সৈন্যরা গুলি ছুঁড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার সেনারা নিজেদের সীমান্ত অতিক্রম করেনো ম্যানস ল্যান্ডেঢুকে পড়ায় সতর্কতা হিসেবে তাদের সৈন্যরা গুলি নিক্ষেপ করেছিলো।

আগামী সোমবার ওয়াশিংটনে এক শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সাক্ষাতের কথা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লি দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে আগ থেকেই প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। তবে কিমের বোন এই পুনর্মিলন প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন নিজেও চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়ে একে সবচেয়ে সংঘাতপূর্ণ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

সেইসাথে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছানোর অঙ্গীকারও করেন। গত জানুয়ারিতে হাইপারসনিক ওয়ারহেডসহ নতুন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিলো উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করেছে দেশটির রাস্ট্রিয় সংবাদ সংস্থা।

গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিন ওনসিক দাবি করেছিলেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মস্কোর কাছ থেকে পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে। এরপরে বেশ কয়েকবার উত্তর কোরিয়াকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে দেখা গেছে। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে আসলেই রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে কি না তা এখনো পরিষ্কার জানা যায়নি।

উত্তর দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। দেশ দুটো একসঙ্গে থাকলেও কোরীয় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৫৩ সালে কোরিয়া ভেঙে দু'টি আলাদা রাষ্ট্র গঠিত হয়। এরপর দক্ষিণ কোরিয়া গণতন্ত্রের পথে হাঁটলেও একনায়কতান্ত্রিক শাসকের হাতে চলে যায় উত্তর কোরিয়াবর্তমানে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে দমনমূলক রাষ্ট্রগুলোর একটি, যেখানে কিম তার পরিবারের হাতে গত কয়েক দশক ধরে দেশটির শাসনক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে আছে। দশকের পর দশক ধরে বিরোধ চলার পরও দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি। মাঝেমধ্যেই দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াতে থাকায় পার্শ্ববর্তী দেশগুলো আতংকে থাকে।

 


advertisement image

Leave Your Comments