চট্টগ্রামের রাউজান থানা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ছত্তারঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষে ২৯ জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এ হামলা-ভাঙচুরের শিকার হয়েছে পুলিশের ১টি পিকআপ ভ্যান, গোলাম আকবর খন্দকারের একটি জিপ গাড়ি এবং পুড়ে ফেলা ৩টি মোটরসাইকেল।সংঘর্ষ হয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পুরো এলাকায় আতংক অবস্থা বিরাজ করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন জানায়, বিকেল অনুমান সারে ৪টার দিকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। একই সময়ে গোলাম আকবর খন্দকারের গাড়িবহর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু করে। এর মধ্যে অনেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, গোলাগুলির কোন ঘটনা ঘটেনি।গোলাম আকবর খন্দকার অভিযোগ করেন, আমরা কবর জিয়ারতের কর্মসূচিতে যাচ্ছিলাম। গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। আমার অন্তত ৩০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। অপরদিকে রাউজান পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হক জানান, আমাদের পূর্বঘোষিত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করছিলাম। হঠাৎ গোলাম আকবরের সমর্থকরা আমাদের কর্মীদের হামলা করে। তাদের লোকেরাই নিজের গাড়ি ভাঙচুর করে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) রাসেল পিপিএম জানান, সংঘর্ষের সুনির্দিষ্ট কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গুলির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।ঘটনার পর উভয়পক্ষই একে অপরকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ বলে আখ্যা দেয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে দাবি করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা।
We may use cookies or any other tracking technologies when you visit our website, including any other media form, mobile website, or mobile application related or connected to help customize the Site and improve your experience.
learn more