জার্মানি ৮১ জন আফগান নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এটি দ্বিতীয়বারের মতো প্রত্যাবাসন। চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ-এর অধীনে প্রথমবারের মতো এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। মার্জ তার সরকারের কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ফেরত পাঠানো সব আফগান নাগরিকের আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল এবং তারা জার্মান বিচার বিভাগের নজরে এসেছিলেন। কাতারের সহায়তায় এবং কয়েক সপ্তাহের কূটনৈতিক আলোচনার পর এই প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়। চ্যান্সেলর মার্জ নিশ্চিত করেন যে আফগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তবে এর বিস্তারিত জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস-এর সরকার ১০ মাস আগে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করেছিল। শলৎস তখন আশ্রয়প্রার্থীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। যদিও জার্মানি তালেবান-শাসিত আফগান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। জার্মানির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় ইঙ্গিত দিয়েছে যে ভবিষ্যতেও আরও আফগান নাগরিককে ফেরত পাঠানো হবে, যদিও নির্দিষ্ট সময়সূচি জানানো হয়নি।