বাউফল সংবাদদাতা:
পটুয়াখালীর বাউফলের উত্তর দাসপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে সুপারের কক্ষে তিনটি তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার ক্লাস শেষে যথারীতি মাদ্রাসা ছুটি দেওয়া হয়। পরদিন সকালে ভারপ্রাপ্ত সুপার মাসুম বিল্লাহ এসে দেখেন তার দেওয়া তালার উপর আরও দুটি তালা ঝুলছে। পরে জানা যায়, এডহক কমিটির সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ একটি এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির উদ্দিন আরেকটি তালা দেন।

এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষক মিলনায়তনে দুই পক্ষের শিক্ষক একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। পরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাকে অপসারণ করলেই প্রতিষ্ঠানটিতে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরবে।
ভারপ্রাপ্ত সুপার মাসুম বিল্লাহ বলেন, গত ১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দায়িত্ব দেন। “কর্তব্য পালনের সময় মঙ্গলবার দেখি আমার দেওয়া তালার উপর আরও দুটি তালা ঝুলছে। পরে জানতে পারি সভাপতি ও সাবেক সুপার মিলে তালা দিয়েছেন।”
এ বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার নজির উদ্দিন দাবি করেন, সভাপতির নির্দেশেই তিনি তালা দেন এবং এখনও তিনি দায়িত্বে আছেন। তবে সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ ফোনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাউফল উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. নুরুন্নবী বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষকে ডেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।