তারকাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা নিষিদ্ধের মতো

Date: 2025-07-20
news-banner


অনলাইন ডেক্স: 

তারকাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা নিষিদ্ধের মতো। যে কারনে তারা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সকল দু:খ কষ্ট একা একাই গোপন রেখে চলে যান পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে। সম্প্রতি তারকারা নিজেদের সকল উপলিদ্ধি একে অপরের পরিপূরক করার জন্য তারা খুলেছেন হোয়াটসআ্যাপ গ্রুপ। পাকিস্তানের কিংবদন্তি অভিনেত্রী হুমায়রা আসগর আলীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তারকারা নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তায় এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুললেন । এই উদ্যোগটি নিয়েছেন অভিনেত্রী ঝালায় সারহাদি এবং ইয়াশমা গিল। ‘কানেকটিভিটি ওয়ান-অন-ওয়ান’ নামের এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে শিল্পীরা একে অপরের খোঁজখবর নেবেন এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সরাসরি আলোচনা করবেন। জিও ডিজিটালের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ঝালায় সারহাদি জানান, গ্ল্যামার ও ভিড়ের মাঝেও বিনোদনজগত অনেক নিঃসঙ্গ হতে পারে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক মানুষের মাঝেও শিল্পীরা অনেক সময় সম্পূর্ণ একা বোধ করেন। কঠিন সময়ে কখনো কখনো পরিবারের সদস্য বা কাছের বন্ধুরাও পৌঁছাতে পারেন না। প্রতিবার কোনো ট্র্যাজেডির পর কেবল কাঁদা বা শোক প্রকাশের বদলে এবার আমরা একটি বাস্তব পদক্ষেপ নিতে চেয়েছি।’ কানেকটিভিটি ওয়ান-অন-ওয়ান’ গ্রুপের মাধ্যমে শিল্পীরা প্রতি সপ্তাহে একে অপরের খোঁজ নেবেন, মানসিক অবস্থার কথা বলবেন, নিজেদের দুর্দশা ভাগাভাগি করবেন। ঝালায় আরও বলেন, ‘এই গ্রুপে আমরা লোকেশনও শেয়ার করব, হতাশার কথা বলব, জীবনের নানা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করব—এটা এমন একটা জায়গা যেখানে আমরা মানসিকভাবে সংযুক্ত থাকব এবং একে অপরকে সহায়তা করতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা স্বাভাবিক করতে হবে। প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় মানসিক চাপের ভেতর দিয়ে যায়। সাহায্যের সুযোগ থাকলেও আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলাটা এখনো নিষিদ্ধের মতো। তাই মানুষ সাহায্য চায় না।’ এই বছর পাকিস্তানি বিনোদনজগৎ একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে। ১৯ জুন করাচির এক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী আয়েশা খানের এক সপ্তাহ পুরোনো মরদেহ। এরপর ৮ জুলাই, ডিফেন্সের নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় হুমায়রা আসগরের নয় মাস পুরোনো মরদেহ। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা বিনোদন শিল্পের অপ্রকাশিত মানসিক ও অর্থনৈতিক সংগ্রামের বিষয়গুলো সামনে নিয়ে এসেছে।  ‘কানেকটিভিটি ওয়ান-অন-ওয়ান’ নামের এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিল্পীরা অবশেষে এমন একটি জায়গা তৈরি করছেন, যেখানে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, নিজেদের মনের কথা বলা এবং ভবিষ্যতের আরেকটি ট্র্যাজেডি প্রতিরোধ সম্ভব হতে পারে, যাতে করে অতীতের মতো কোন প্রতিভাবন শিল্পীকে হারিয়ে যেতে না হয়। আমরা একে অপরের পাশে ঢাল হয়ে যেন দাঁড়াতে পারি প্রয়োজন ও অতি সংকটময় মূহুর্তে। 


advertisement image

Leave Your Comments